top of page
beautiful-development-highway-road-forest-birbhum-illambazar-protected-area-sunny-day-indi

ট্যুরিজম সার্কিট ১

entrance-of-rangabitan.jpg

যাত্রা শুরু

জায়গাটা জনকোলাহল থেকে দূরে। প্রকৃতির মাঝে অবস্থিত, সপ্তাহান্তে থাকার জন্য আদর্শ। দুর্দান্ত খাবার, নির্মল এলাকা, ছোট ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।

রাঙাবিতান

Akalipur (2).jpg

অকালিপুর গুহ্যকালী মন্দির

আকালিপুর গুহ্যকালী মন্দিরের জাদুকরী স্থানটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো। এটি বিশ্বাস করা হয় যে দেবতা কালীর এই রূপটি মগধের লোকেরা প্রথম পূজা করেছিল। আরও কয়েক প্রজন্ম পরে এটি বেনারসের রাজা চৈত সিংয়ের কাছে হস্তান্তরিত হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাজার হাতে দেবতা কীভাবে এসেছিল তার পেছনের পৌরাণিক কাহিনী শুরু হয়েছিল একজন কৃষক তাদের জমিতে কালী মূর্তি আবিষ্কার মাধ্যমে এবং এই খবর শুনে মহারাজা চৈত সিং মা কালীকে তার দরবারে নিয়ে আসেন এবং সেখানে তাকে প্রতিষ্ঠা করেন।

৮৭ কিমি আনুমানিক.

Nalhati (4).jpg

নলাটেশ্বরী

ব্রাহ্মণী নদীর তীরে প্রাচীন জনপদ নলহাটি। এখানেই আছে অনুচ্চ এক টিলা- স্থানীয় নাম পার্বতী পাহাড়। এই পাহাড় তন্ত্রসাধক দের কাছে অত্যন্ত পবিত্র সাধনভূমি। শোনা যায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে শক্তি সাধকেরা আসেন এখানে সাধনা করতে। এই পাহাড়েই অবস্থান করেছেন স্বর্ণজিহ্বা, কুঙ্কম চর্চিতা মহাকালী- সতীর কন্ঠনালীই মহাকালী রূপে এখানে পূজিতা। পীঠ ভৈরব রূপে অবস্থান করেছেন যোগীশ। 

১৮ কিমি আনুমানিক.

Tarapith (7).jpg

২৪ কিমি আনুমানিক.

পঞ্চ পীঠ ছাড়াও বীরভূমের শক্তি সাধনার অন্যতম সিদ্ধপীঠ হল তারাপীঠ। কথিত আছে সাধক বশিষ্ঠ মহাচিন থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়ে দ্বারোকা নদের তীরে তপস্যা শুরু করেন এবং জ্যোতির্ময়ী তারার দেখা পান। মহামায়ার দশমহাবিদ্যার দ্বিতীয় রূপ ব্রহ্মময়ী তারা সেই থেকে তারাপীঠের বিরাজ করছেন।বশিষ্ঠের পর রত্নাকরের রাজা জয় দত্তের মৃত পুত্র জীবিত কুন্ডের জলস্পর্শে বেঁচে  উঠলে তিনি তারা সাধনায় আত্মমগ্ন হন। তিনি প্রথম মা তারার মন্দির নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ঢেকার রাজা রামজীবন রায় মন্দির গড়েছিলেন। তারও পরে বর্তমান মন্দির  নির্মাণ করেন মল্লারপুরের জগন্নাথ রায় ১২২৫ বঙ্গাব্দে। 

তারাপীঠ

Iskcon Birchandrapur (10).JPG

৯ কিমি আনুমানিক.

মধ্যযুগের ভক্তি আন্দোলনে যে দুই যুগল তনুকে উদ্বাহু কৃষ্ণপ্রেমে ভাববিহ্বল রূপে দেখা যায়, তাদের একজন নবদ্বীপ চন্দ্র গৌরাঙ্গ এবং অপরজন রাঙামাটির আলোক পুরুষ নিত্যানন্দ মহাপ্রভু। ১৪৭৩ সালে ১২ ই জানুয়ারী নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর জন্ম প্রেমভূমি একচক্রধাম বীরচন্দ্রপুরে। মহাভারতের আদিপর্বে কুন্তি সহ পান্ডবদের এই একচক্রধামে বসবাস করতে দেখা যায়। এ জেলার অন্যতম পুণ্য বৈষ্ণব ক্ষেত্র। নিতাই বাড়ি নামে পরিচিত নিত্যানন্দ মন্দির ভক্ত মানুষের পরম তীর্থস্থান। 

বীরচন্দ্রপুর

Birbhum-1-1200x900.jpg

১৩ কিমি আনুমানিক.

ঘোষগ্রামের লক্ষ্মীবাড়ি মা লক্ষ্মীর ভক্তদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। লক্ষ্মী পূজার সময় এটি একটি খুব জনপ্রিয় পর্যটন স্পট এবং সারা দেশ থেকে ভক্তরা ঘোষগ্রামে জড়ো হয়। লক্ষ্মী মন্দিরেরও একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে এবং ঘোষগ্রামের পূজা এবং আচারগুলি বীরভূম এবং পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পরিচিত।

ঘোষগ্রাম

Kaleshwar (12)_edited.jpg

কলেশ্বর

কলেশ্বর বীরভূমের অত্যন্ত প্রাচীন এক শিবক্ষেত্র। কথিত আছে পর্বত নামে এক ঋষি দেবী পার্বতীর তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এই স্থানে। তাই এই গ্রামের নাম হয় পার্বতীপুর। এই সিদ্ধভূমিতেই পরবর্তীকালে কলেশনাথ ঘোষ শিব সাধনা করে প্রতিষ্ঠা করেন শিবলিঙ্গ। ভক্তের নাম অনুসারে তাই শিবের নাম হয় কলেশ্বর। কলেশ্বর শিব মন্দির বীরভূমের অন্যতম সুউচ্চ দেবালয়, ঢেকার রাজা রামজীবন রায় এই মন্দির নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে মন্দির সংস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে দ্বারকানাথ দেব তপস্বীর নাম।

২০ কিমি আনুমানিক.

49101951_345211209644342_857574560919191552_n.jpg

৫২ কিমি আনুমানিক.

দ্বারবাসিনী দেবী দুর্গার রূপ। মন্দিরটি দ্বারকা নদীর তীরে এবং দেউচা-বলিহারপুর সড়কের শেষ প্রান্তে অবস্থিত। তন্ত্রঅনুসারে দ্বারবাসিনী একটি শক্তিপীঠ।

দ্বারবাসিনী

jogi7.webp

প্রস্তাবিত মন্দির

১৩ কিমি আনুমানিক.

কেউ কেউ মনে করেন মহাবীরের নাম অনুসারে এই ভূখণ্ডের নাম মহাবীরভূমি থেকে বীরভূমি থেকে বীরভূম হয়েছে। জৈন বিশ্বাস অনুযায়ী সেয়ম্বিয়ার রাজা পারদেশী মহাবীরের চরণে আত্মসমর্পণ করেছিলেন, সেই সেয়ম্বিয়ার বর্তমান নাম সাঁইথিয়া। দেউচার কাছে উশকা গ্রামের যোগী পাহাড়ে আছে মহাবীরের পদচিহ্ন। তাই যোগী পাহাড় প্রসিদ্ধ জৈন তীর্থ রুপে আজ সারা ভারতে পরিচিত। কথিত আছে এই পাহাড়ে চণ্ড কৌশিক নামে এক বৃহৎ সর্প মহাবীরকে দংশন করলে তিনি তার অলৌকিক শক্তি দিয়ে বিষকে দুধে পরিণত করেন। 
 

যোগী পাহাড়

bottom of page