
দাতাবাবার মাজার
-2.jpg)

দাতাবাবার মাজার

সিউড়ির সন্নিকটে পাথরচাপুড়ি গ্রামের সুফি-সাধক দাতাবাবার মাজার বীরভূমের অন্যতম পবিত্র স্থান। শোনা যায় এই পাথরচাপুড়ি গ্রামে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন পীতবর্ণের, আজানু লম্বিত বাহু, দীর্ঘ গোঁফ দাড়িতে আচ্ছন্ন উজ্জ্বল মুখমন্ডলের এক সুফি সাধক, নাম তার পীর হজরত দাতা বাবা মেহেবুব শাহ। আসলে সকল ধর্মের সকল শ্রেণির মানুষের প্রতি পার্থিব অপার্থিব দানের কারণেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন দাতাবাবা। ১২৯৮ বঙ্গাব্দের ১০ ই চৈত্র তিনি দেহত্যাগ করেন, তার পবিত্র সমাধিক্ষেত্রই হয়ে উঠেছে দাতাবাবার মাজার।
.jpg)
মাজার প্রাঙ্গন
দাতাবাবার মাজার


মেলা ও উৎসবঃ দাতাবাবার পার্থিব দেহত্যাগের তারিখ অর্থাৎ ১০ ই চৈত্র দিনটিতে পাথরচাপুড়ি মেলা বসে। চৈত্রের দাবদাহকে উপেক্ষা করে ওই সময় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ আসে মাজারে চাদর চাপাতে। সারা বাংলা তো বটেই বাংলার বাইরে এমনকি বিদেশ থেকেও পুণ্যার্থীর ঢল নামে।

থাকা-খাওয়াঃ পাথরচাপুড়ি মেলার পাঁচদিন বিপুল জনসমাগম হলেও অন্য সময় আধ্যাত্মিক সাধনার এক নির্জন কেন্দ্র বলা যায়। কাছাকাছি সিউড়ি শহরে থাকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

মাজার প্রাঙ্গন
মাজার শরীফের একটি প্রবেশ পথ
-2_edited.jpg)

কি কি দেখবেনঃ পথে আর একটু এগোলে রাজনগরের রাজবাড়ি, মতিচুর মসজিদ দেখা যাবে। রাজনগরে মহরম ও তার তাজিয়া অন্যতম দ্রষ্টব্য।

কি ভাবে যাবেনঃ সিউড়ি থেকে রাজনগর রাস্তা ধরে পাথরচাপুড়ি মাত্র ১০-১২ কিমি পথ। বাসে বা টোটো- অটোতে অথবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যেতে পারে।
.png)